নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : আজ ১৭ নভেম্বর নাগেশ্বরীর নিলুরখামার ও হাসনাবাদ গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে দুই ইউনিয়নের ১০৮ জন নিরাপরাধ মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করে রাজাকার এবং পাকবাহিনী। উপজেলার সর্ববৃহৎ ও জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম গণকবর নিলুর খামার। ১৭ নভেম্বর পাক বাহিনী সন্তোষপুর ইউনিয়নের আলেপেরতেপথি, চরুয়াটারী, কাইটটারী, সূর্যেরকুটি, সাতানি, ব্যাপারীহাটসহ কয়েকটি গ্রামে অতর্কিতে হামলা চালালে ভীত সন্ত্রস্ত মানুষ নিলুরখামার গ্রামে আশ্রয় নেয়। এসময় পাকিরা ওই গ্রামটিকে তিনদিক থেকে ঘিরে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ ও বাড়ি-ঘরে অগি্নসংযোগ করে। আগুনে পুড়ে মারা যায় আপর আলী, বাচ্চানী খাতুন, মইনুদ্দিন মুন্সী, আব্দুস সালাম মুন্সী, হাজেরা খাতুন, আজিজুর রহমান। এছাড়াও বেয়নেট খুঁচিয়ে ও গুলি করে ৭৯ জন নিরীহ নিরাপরাধ মানুষকে হত্যা করা হয়। হানাদাররা চলে গেলে আতংকিত মানুষরা ফিরে এসে লাশগুলোকে গ্রামের একপ্রান্তে গর্ত করে মাটি চাপা দেয়। একই দিনে ২৫ পাঞ্জাব রেজি. অধিনায়ক ক্যাপ্টেন আতাউল্যা খাঁনের নেতৃত্বে রাজাকার ও পাকিবাহিনীর একটি দল হাসনাবাদ ইউনিয়নের মনিয়ার হাট, শ্রীপুর, হাজির হাট, টালানাপা গ্রামে ঘর-বাড়িতে অগি্নসংযোগসহ ২৯ জনকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে। এদের মধ্যে মনিয়ার হাটের আগু মিয়াসহ ৩ জনকে হাত পা বেঁধে আগুনে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়।
আজ ১৭ নভেম্বর নাগেশ্বরীর নিলুরখামার ও হাসনাবাদ গণহত্যা দিবস
Spread the love
Spread the love