স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের চিত্রা নদী দখল করে, বাঁধ দিয়ে অবাধে চলছে মাছ নিধন। প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রতিনিয়ত এই কাজটি করে চলেছে এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল। এতে করে একদিকে যেমন পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি মাছের প্রজননও হুমকির মুখে। এমনই এক অসহায় নদী হচ্ছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের চিত্রা। শালিখা, মস্তবাপুর, ফরাসপুর, বারইপাড়া, সিংগী, গোমরাইল, নগর চাপরাইল, একতারপুর, বনখির্দ্দা, ইছাখালীসহ একাধিক গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, অনেকেই নদীর মধ্যে বাঁধ দিয়ে ডিমওয়ালা মাছ ধরছেন। বিষয়টি সম্পূর্ণ অবৈধ হলেও দেখার কেউ নেই। চাপরাইল গ্রামের নাজমুল ইসলাম জানান, দেশে অনেক আইন আছে কিন্তু আইনের প্রয়োগ নেই। গত বছর ভ্রাম্যমাণ আদালত সোনাতন মালোকে এক হাজার ও বারই পাড়া গ্রামের বুল্লাকে ১৫শ টাকা জরিমানা করে। অথচ জরিমানা দেয়ার কয়েকদিন পর থেকে তারা আবারও নদীতে বাঁধ দেয়। আব্দুর রাজ্জাক বিশ্বাস জানান, বাঁধ দিয়ে মাছ ধরা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এক-দুই হাজার টাকা জরিমানা করে কোনো লাভ নেই। কালীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাইদুর রহমান রেজা জানান, নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ ধরা আইনগত দন্ডনীয় অপরাধ। নদীতে যদি বাঁশ ও মশারি দিয়ে বাঁধ দেয়ায় মাছের প্রজননে সমস্যা হয়, রেনু পোনা মারা যায় তাহলে আপানারা তথ্য দিয়ে সহায়তায় করলে ইউএনও স্যারকে সঙ্গে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মানোয়ার হোসেন মোল্লা জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা খুব শিগগিরই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব।
ঝিনাইদহের অসহায় চিত্রা নদী-দখল করে বাঁধ দিয়ে অবাধে চলছে মাছ নিধন
Spread the love
Spread the love