মোঃ তোফায়েল ইসলাম ,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে বাড়ছে দিন দিন শিশু শ্রমিকের সংখ্যা। ফলে ভেস্তে যাচ্ছে সরকারের গণশিক্ষা ও প্রাথমিক কার্যক্রম। আর এ শিশু শ্রমের প্রধান কারণ দারিদ্র্য। দারিদ্র্যের কারণে এসব শিশু শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শিশুদের স্কুলে নিয়ে আসা এবং ধরে রাখার জন্য উপবৃত্তি প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি থাকলেও ঠাকুরগাঁও জেলা শিক্ষা বিভাগে তেমন কোনো কার্যকর ভূমিকা চোখে পড়ছে না। ফলে যে বয়সে শিশুদের স্কুলে যাওয়ার কথা সে বয়সের শিশুরা বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ ও অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ছে। দরিদ্রতার জালে আবদ্ধ এসব শিশুরা বিভিন্ন, চায়ের দোকান, হোটেল, রেস্তোরাঁ ইটভাটা, ওয়ার্কশপ, ফার্নিচার,মিলসহ কঠোর পরিশ্রমের কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। এছাড়াও নসিমন-করিমন, রিকশা-ভ্যান চালানো, বাস-ট্রাক, পিকআপ ও বিভিন্ন ধরনের গাড়ির হেলপার, ওয়েল্ডিংয়ের কাজসহ নানাবিধ ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে শিশুদের। জেলার অধিকাংশ শিশুই স্কুলে যায় না। একদিকে পরিবারে অর্থের অভাব অপরদিকে এলাকায় প্রাইমারি স্কুলের সংখ্যা খুবই নগণ্য। শিশুদের ৫-৬ কিলোমিটার পথ হেঁটে স্কুলে আসা যাওয়া করতে হয়। সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় শিশুরা লেখাপড়ার পরিবর্তে
বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ে। এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু হারেস জানান, সীমান্তবর্তী এলাকা ও উপজাতি পাড়ার শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে হলে এলাকাগুলোতে উপ- আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে। ঠাকুরগাঁও শহরের ঘুরে বেরানো পলিথিন কুড়ানো শিশু সাইফুল ইসলাম বলে, ‘জন্মের আগেই বাবা মারা গেছে, মা বাড়িতে অসুস্থ। পলিথিন কুড়িয়ে প্রতিদিন ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পাই, সে টাকায় সংসার চলে। স্কুলে গেলে মায়ের ওষুদের টাকা কে দেবে, খাব কি?
ঠাকুরগাঁও দারিদ্র্যতার কারন দিন দিন শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে
Spread the love
Spread the love