মোঃ তোফায়েল ইসলাম ,ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁও হরিপুর সীমান্তে দুই বাংলার মানুষের মিলন মেলা কাঁটাতারের দুপুরে দাঁড়িয়ে আছে কয়েক হাজার বাঙালি। ভালোবাসা আর মমতায় দুই দেশের অগণিত মানুষের এ মিলনমেলায় আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। শুক্রবার বিকাল সাড়ে পর্যন্ত এমন দৃশ্য চোখে পড়ে ঠাকুরগাঁও হরিপুর উপজেলার ভাতুরিয়া সীমান্তে। নাগর নদীর পাড়ে প্রতি বছরের মতো এবারও বসেছে দুই বাংলার মানুষের মিলনমেলা। তারা পরস্পরের সঙ্গে কথা বলছেন,। ওবাক করা দৃশ্য. কেউ কেউ কাঁটাতারের ওপর দিয়ে বিস্কুট চানাচুর ছুড়ে দিচ্ছেন। কেউ বা আত্মীয় স্বজনদের মাঝে এমন আবেগঘন পরিবেশে স্বজন ও পরিচিতদের দেখে অনেকেই কেঁদে ফেলেন তবে সে কান্না বিরহের নয়, । সীমান্ত এলাকার অধিবাসীরা জানান, ভারত আর বাংলাদেশের যেসব সাধারণ মানুষ অর্থাভাবে পাসপোর্ট-ভিসা করতে পারে না, তারা এ দিনটির অপেক্ষায় থাকে। এই দিনে তারা আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করেন। সকাল থেকে দুই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন এসে জড়ো হন। দিনটির জন্য সবার অধীর প্রতীক্ষা। এদিনে দুই দেশের অনেকে আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করেন। কেউ মায়ের সঙ্গে, কেউ বা বোনের অথবা আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা ও কথা বলার সুযোগ পান। স্থানীয়রা জানায়, ১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্তির পর এদেশের অনেক আত্মীয়স্বজন ভারতীয় অংশে পড়ে। ফলে অনেকেরই যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। হরিপুর আমগাঁও থেকে আসা ভাই ইছাহাক আলী জানান, ২২ বছর পর দুইজনের দেখা হলো।
ঠাকুরগাঁও হরিপুর সীমান্তে দুই বাংলার মিলন মেলা
Spread the love
Spread the love