শিশির আকতার নিঝুম,জয়পুরহাট : জয়পুরহাট সদর উপজেলার ধলাহার ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তবর্তী পশ্চিম রামকৃষ্ণপুর গ্রামে ঢুকে স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর গুলি চালিয়েছে বিএসএফ। এ ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম সায়েম উদ্দিন (৩৫)। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিরা হলেন, পরিমল মার্ডি (৩০) ও তাঁর ভাই নির্মল মার্ডি (৩৫) ; ফারুক হোসেন (২৮) ও আবুজার হোসেন বিদ্যুত (২০)। তাঁরা জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে চিকিত্সাধীন আছেন।প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বেলা ১২টার দিকে সদর উপজেলার ভুটিয়াপাড়া বিজিবি ক্যাম্পের ২৭৫ / ৯ এর সাবপিলার এলাকায় সীমান্তবর্তী পশ্চিম রামকৃষ্ণপুর গ্রামের কয়েকজন যুবক পুকুরে মাছ ধরতে যান। এ সময় কয়েকজন বিএসএফ সদস্য তাঁদের মাছ ধরতে বাধা দেন এবং গালিগালাজ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যুবকেরা তাঁদের ধাওয়া করেন। এ ঘটনার জের ধরে ২৫ / ৩০ জন বিএসএফ সদস্য বাংলাদেশের পাঁচ-ছয়শ’ গজ অভ্যন্তরের পশ্চিম রামকৃষ্ণপুর গ্রামে ঢোকেন। তাঁরা সেখানে কয়েকজনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। কয়েকজনকে মারপিট করেন। পরে তাঁরা চলে যান। গুলিবিদ্ধ পাঁচজনকে দ্রুত জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সায়েম উদ্দিনকে সেখান থেকে গুরুতর অবস্থায় বগুড়ার জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিকেল পৌনে ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তিনি মারা যান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্মল মার্ডি বলেন, তিনি বাড়িতে বাঁশের ডালা-চাঙ্গারি বানাচ্ছিলেন। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা হঠাৎ এসে তাঁকে মারপিট করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে তাঁরা তাঁর পিঠে গুলি চালান। জয়পুরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাইদুর রহমান জানান, আহত অন্য চারজনের চিকিৎসা চলছে। তাঁরা আশঙ্কামুক্ত। জয়পুরহাট ৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের উপাধিনায়ক মেজর নাসির ইমাম রুমি জানান, এ ঘটনায় ব্যাটালিয়ন পর্যায়ের পতাকা বৈঠক তাঁরা শেষ করেছেন। সেখানে বিজিবির পক্ষ থেকে তিনি এবং বিএসএফের ব্যাটালিয়ন পর্যায়ের উপাধিনায়ক ভরদ্বাজ উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এ নিয়ে সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠক সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হয়ে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনো চলছে।
দল বেঁধে গ্রামে ঢুকে বিএসএফের গুলি, নিহত ১
Spread the love
Spread the love