পোরশা নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর পোরশা উপজেলায় উৎসবমুখর পরিবেশে আমন ধান কাটা শুরম্ন করেছে চাষীরা। উপজেলার আবাদি জমিগুলোতে এখন সোনালি ধানের ঝিলিক পড়েছে। বাতাসেও বইছে আমনের সুঘ্রান। কৃষকের মুখে ফুটেছে ফসলের হাসি। এ উপজেলার মানুষ আশ্বিন ও কার্তিক মাসকে অভাবের মাস বলে থাকেন। অভাবের দুই মাস পেরিয়ে এখন অগ্রহায়ণ মাস চলছে। ধানও বাড়ীতে উঠতে শুরম্ন করেছে, তাই কৃষকরা শত অভাবের মাঝেও সুখের ঠিকানা খুজে পেয়েছেন। আর তাই গৃহস’দের বাড়িতে চলছে নবান্ন উৎসবের প্রস’তি। অনাবৃষ্ঠি আর টানা খরা, ইদূর ও পোকার আক্রমণের সাথে যুদ্ধ করে কৃষক আমন ধান ফলিয়েছেন। তবে এবছর ইদূর ও পোকার আক্রমন তেমন লড়্গ করা না গেলেও, ছিল টানা খরা। যে কারনে আশানুরূপ ফলন পাচ্ছেন না কৃষকরা। অপর দিকে বাজারে নতুন ধানের দামও আশানুরূপ না পাওয়ায় হতাশায় ভুগছেন কৃষক ও চাষীরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর আমন মৌসুমে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে বিভিন্ন জাতের সর্বমোট ২০হাজার ৫শ ৫০হেক্টর আবাদী জমিতে আমন ধান রোপন করা হয়েছিল। এবং উৎপাদন লড়্গ মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল ৭৯হাজার ২শ ৮২ মেট্রিক টন। কিন’ ধান গাছের ভেতর থেকে ধানের শীষ বের হবার মহূর্তে আকাশের বৃষ্টি না হওয়ায় আর চাষীরা জমিতে পানির ব্যাবস’া করতে না পারায় এবছর ধানের ফলন উৎপাদন লড়্গমাত্রা পূরন হবে না বলে জানান কৃষি অফিস। সরেজমিনে উপজেলার সহড়ন্দ গ্রামের কৃষক ফজলু রহমানের পুত্র মিজান রহমান জানান, তার এক বিঘা(৩৩) শতকের এক জমির ধান মেড়েছেন কয়েকদিন পূর্বে। তিনি তার ঐ জমি থেকে এবছর ধান পেয়েছেন মাত্র ১৪মোন। অথচ গত বছর তিনি সেখান থেকে ধান পেয়েছিলেন ১৯মোন। এবছর ধান কম হওয়ার কারন হিসাবে তিনি বলেন, আকাশের বৃষ্ঠি না হওয়ায় আর পানির কোন ব্যবস’া না থাকায় জমিতে পানি দিতে পারছিলাম না। পানি দিলে হয়তো গত বছরের সমান ধান হতো। গত মঙ্গলবার উপজেলার গাঙ্গুরিয়া হাটসহ উপজেলার বেশ কয়েকটি মোড়ের ধানের আড়তগুলোতে দেখা গেছে, ১মোন মোটা জাতীয় আমন ধান এখন সব্বোর্চ সাড়ে ৫শ টাকা, চিকন জাতীয় আমন ধান ৬শ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
পোরশায় আমন কাটা শুরু: ফলন ও দামে হতাশ চাষীরা
Spread the love
Spread the love