প্যারিস প্রতিনিধি : একই সময়ে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের কয়েকটি স্থানে বোমা হামলা ও বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন ১৪০ জন এবং আহত হয়েছেন কয়েকশত বেসামরিক লোক। স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় প্যারিসে এই সন্ত্রাসী হামলার পর পুরো ফ্রান্সে জরুরী অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়া ওলাদঁ, বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ফ্রান্সের সকল সীমান্ত। বার্তা সংস্থা রয়টার্স প্যারিস সিটি হলের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, শহরের মাঝামাঝি বাটাক্লঁ কনসার্ট হলেই অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। হামলাকারীরা সেখানে শতাধিক মানুষকে আটক করার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে জিম্মি সঙ্কটের রক্তাক্ত অবসান ঘটায়। অন্য হামলাগুলো হয়েছে স্টেডি ডি ফ্রান্স এবং কয়েকটি বার ও রেস্তোরাঁয়। এর মধ্যে স্টেডিয়ামের কাছের ঘটনাটি আত্মঘাতি বোমা হামলা বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্টেডিয়ামে তখন জার্মানি বনাম ফ্রান্স এর ফুটবল ম্যাচ চলছিল, খেলা দেখতে গিয়েছিলেন খোদ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। ওলাদঁ এ ঘটনাকে বর্ণনা করেছেন নজিরবিহীন সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে। প্যারিসের বাসিন্দাদের যার যার বাড়িতে অবস্থান করতে সরকারীভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পুরো শহর জুড়ে নামানো হয়েছে সেনাবাহিনী। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এই হামলার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া নেটো বলেছে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা ফ্রান্সের পাশে আছে এবং থাকবে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, ফ্রান্সকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত আছে। তিনি বলেন, নিরপরাধ বেসামরিক জনগণের উপর হামলা আরেকটি বর্বরোচিত ও ভয়ঙ্কর অধ্যায়ের জন্ম দিল। প্যারিসে হামলার এই ভয়াবহতায় ক্ষুব্ধ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। তিনি প্যারিসের সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে এক টুইটে বলেছেন, আমরা ফ্রান্সের মানুষের পাশে আছি। তাদের সাহায্য করতে আমরা প্রস্তুত আছি।
প্যারিসে নজিরবিহীন সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ১৪০, জরুরী অবস্থা ঘোষনা
Spread the love
Spread the love