আজ ৬ নভেম্বর পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার ‘বংশীপাড়া যুদ্ধ দিবস’ ১৯৭১ সালের এই দিনে উপজেলার বংশীপাড়া গ্রামে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে ১০ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং অর্ধশতাধিক পাক হানাদার বাহিনীর সদস্য নিহত হয়। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাস। সারা দেশে যুদ্ধ ক্রমেই দানা বেঁধে উঠছে। সেসময় ভারত থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিবাহিনীর দল আটঘরিয়া উপজেলায় অবস্থান করছিল। ৩ নভেম্বর আটঘরিয়ার চাঁদভা ইউনিয়নের বেরুয়ান গ্রামে মুক্তিযোদ্ধারা ৯ জন রাজাকারকে হত্যা করেন। এর প্রতিশোধ নেয়ার জন্য পাক হানাদার ও রাজাকার বাহিনী মিলে ৬ নভেম্বর সকালে মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজে বের হয়। এ সংবাদ পেয়ে মুক্তিযোদ্ধারা একত্রিত হয়ে পাক হানাদারদের প্রতিরোধের পরিকল্পনা করেন। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম রাঙা জানান, মুজিব বাহিনীর প্রধান আনোয়ার হোসেন রেনু ও ঈশ্বরদীর কমান্ডার ওয়াছেব আলীর নেতৃত্বে শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা একত্রিত হয়ে হানাদারদের গতিপথ বংশীপাড়া চন্দ্রাবতী নদীর পাশে ঘাঁটি করেন। রাজাকার ও পাক হানাদাররা সামনা-সামনি আসামাত্রই মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে শুরু হয় ভয়াবহ যুদ্ধ। হানাদারদের ক্যাপ্টেন তাহের ঘটনাস্থলেই মারা যায়। কয়েক ঘন্টাব্যাপী সম্মুখযুদ্ধে ঘটনাস্থলেই ১০ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। সেদিন সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন আবুল কাশেম, আব্দুল খালেক, ইউনুছ আলী, নায়েব আলী, আব্দুর রশিদ, আব্দুল মালেক, শহিদুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার, মনছুর আলী, আব্দুর রাজ্জাক। তাদের স্মরণে বংশীপাড়া গ্রামে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল।
‘বংশীপাড়া যুদ্ধ দিবস’ আজ
Spread the love
Spread the love