কারিমুল হাসান লিখন, ধুনট ,বগুড়া : বগুড়ার ধুনট উপজেলা ৪ নভেম্বার গণহত্যা দিবস অথচ নেই কোন কমসুচী। ১৯৭১ সালে এই দিনে বগুড়ার ধুনটে রাজাকার কর্তৃক সংঘবদ্ধ পাক হানাদারেরা ধুনটের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে আসে উপজেলার পশ্চিম ভরনশহী গ্রামে। সেখানেই ২৮ মুক্তিযোদ্ধাদের সারিবদ্ধ ভাবে গুলি করে হত্যা করে। নিহত ২৮ জন মুক্তিযোদ্ধা হলেন, উপজেলার কালেরপাড়া গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান, শিয়ালী গ্রামের নুরুল ইসলাম, মাজবাড়ী গ্রামের ফরহাদ হোসেন, জিল্লুর রহমান, ধুনটের জহির উদ্দিন, পরবত আলী, চাঁন্দারপাড়া গ্রামের আব্দুল লতিফসহ নাম না জানা আরও ২১ জন। যুদ্ধের ৪৩ বছর পর আজও সরজমিনে দেখা যায়, রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে দিন দিন নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়ছে গণকবরটি। ইতিহাস কথা বলে, তারই ভিত্তিতে দেখা যায়- ১৯৭১ সাল ১৯ এপ্রিল পাক বাহিনী ধুনট থানা আক্রমন করলে ১ জন সিপাহী নিহত হয়। ২৬ এপ্রিল পাক বাহিনী উপজেলার এলাঙ্গী বাজারে তান্ডব চালিয়ে ৩৩ জন নিরিহ সাধারন মানুষদের হত্যা করে। ২৭ এপ্রিল পাক হানাদাররা পুনরায় থানা আক্রমন করে ৫ জন সিপাহীকে হত্যা করে। ৪ মে পাক বাহিনী কালেরপাড়া ইউনিয়নে তান্ডব চালিয়ে হত্যা করে আও ৩ জনকে। ৭ সেপ্টেম্বার ১৯৭১ ধুনট থানার পাশেই ১৭ জনকে হত্যা করে। ১৯৭১ সালের ৪ নভেম্বার পাক হানাদারেরা পরিকল্পিতভাবে ২৮ মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করে। যার স্বরনে আজও রয়েছে ধুনট গণকবর। ৬ ডিসেম্বার মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখযুদ্ধে ৩ জন পাক সেনা ও ২ জন রাজাকার নিহত হয়। ১১ই ডিসেম্বার ধুনট উপজেলা শত্রু মুক্ত হয়।
বগুড়ার ধুনট গণহত্যা দিবস, নেই কোন কমসুচী
Spread the love
Spread the love