বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ায় ঘানি শিল্প এখন বিলুপ্তির পথে। জেলার প্রতিটি গ্রাম্যঞ্চলে একাধিক ঘানি ছিল। ভেজাল মুক্ত খাটি তৈলের কথা শুনলেই স্মৃতিতে মনে পড়ে যায় ঘানি শিল্পের কথা। বর্তমানে এখন গ্রামে গ্রামে আর ঘানি চোখেই পড়ে না। ফলে ঘানি শিল্পের সঙ্গে পরিবারের লোকজন বেকার হয়ে পড়েছে। ঘানি চালাতে ১ থেকে ২টি গরু, ১জন শ্রমিক প্রয়োজন। তবে গাবতলী উপজেলা কাগইলের দাসকান্দি গ্রামের ২০টি পরিবার ঘানি শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করত। বর্তমানে তারা পুজির অভাবে কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে তাদের ঘানি শিল্প। ইতিপূর্বে এলাকার শতশত কৃষক সরিষা শুকিয়ে নিয়ে ঘানিতে খাটি তৈল, গরুর খাদ্য ও জৈব সারের জন্য খৈল সংগ্রহ করতো। ফলে ঘানি ব্যবহারকারীগণ যেমন টাকা পেত। তেমনি কৃষকরা আর্থিক ভাবে লাভবান হতো। কাগইলের দাসকান্দি গ্রামের ঘানি মালিক গিয়াস উদ্দিন ও জাহের উদ্দিন জানান, অল্প পুজি, সরিষা ক্ষেত কমে যাওয়া ও শিল্পের ঋণ না পাওযায় অসহায় হয়ে ঘানি শিল্প এখন বিলুপ্তির পথে। আমরা বেকার হয়ে পড়েছি। ফলে অনেকেই অন্যপেশা বেঁচে নিয়েছেন । তবে শিল্পকে বাঁচাতে সংশ্লি¬¬ষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতনমহল।
বগুড়ায় ঘানি শিল্প এখন বিলুপ্তির পথে
Spread the love
Spread the love