আবুল বাশার মিরাজ,বাকৃবি প্রতিনিধি : প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১২ টি ফসলের ৮৩ টি জাত উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)। প্রতিষ্ঠানটি আগামী ২০২১ সালের মধ্যে শততম জাত উদ্ভাবন করতে পারবে। বিলুপ্তপ্রায় জাতের ধানের জিন আইসোলেশনে কাজ চলছে। প্রযুক্তির সর্বোচ্চ উৎকর্ষ সাধনে এ প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা কাজ করে যাচ্ছেন। আগামী দিনে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাময়িকীতে আমাদের লেখা ছাপা হবে। গতকাল শনিবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে অবস্থিত বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) ৫ দিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিনার মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মো. শমসের আলী। তিনি আরো বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও কৃষি মন্ত্রীর প্রেরণা আমাদের কাজ করতে উৎসাহ দিচ্ছেন। মৌলিক গবেষণায় আগামী দিনে আরো ফলপ্রসূ আবদান রাখা হবে। সকাল ১০ টার দিকে বিনার ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিনার মহাপরিচালক ড. মো. শমসের আলীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক সমীর কুমার সরকার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. আবুল কালাম আজাদ, বাকৃবি রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান, আন্তর্জাতিক ধান গবেষনা ইনস্টিটিউটের (ইরি) বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. এম. এ বারি, অধ্যাপক ড. মো. সুলতান উদ্দিন ভূঞা। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইরি’র ভারত ও নেপাল প্রতিনিধি ড. ইউ.এস সিং এবং ইরি’র কর্মকর্তা ড. হোমনাথ ভান্ডারি।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষ তার বক্তব্যে বলেন, দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। সরকার এখন পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে। খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশে পরিণত হবে।
বিলুপ্তপ্রায় ধানের জিন আইসোলেশনে কাজ করছে বিনা
Spread the love
Spread the love