Spread the love

এজাহারে প্রকাশ, তার ছেলে দশঘর ইউনিয়নের দারুল উলুম বরুনী মাদ্রাসা ছাত্রাবাসে থেকে লেখাপড়া করছে। গত ২৪ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে স্থানীয় পীরের বাজার থেকে পায়ে হেটে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে বরুনী ঈদগাহ মাঠের কাছে জাহান মিয়ার সাথে তার ছেলের দেখা হয়। পূর্ব পরিচিত হওয়ায় জাহান মিয়া তার আত্মীয়-স্বজনের কবর জিয়ারতের কথা বলে তার ছেলেকে বরুনী ঈদগাহ সংলগ্ন কবরস্থানের বাউন্ডারী দেয়ালের কাছে নিয়ে সেখানেই জোরপূর্বক বলাৎকার করে। লোকলজ্জার ভয়ে সে কাউকে কিছু না জানালেও ওইদিন মাগরেবের নামাজ আদায় করতে পীরের বাজার মসজিদে গিয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার সময় তার মলদ্বার দিয়ে রক্ত পড়া শুরু হয়। এসময় সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। জ্ঞান না ফেরায় পরে তিনি (মাদ্রাসার ছাত্রের মা) ও বরুনী মাদ্রাসার শিক্ষকরা মিলে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি।
এজাহারে বাদী আরও উল্লেখ করেন, বলাৎকারের ফলে তার ছেলের পায়ুপথ ছিঁড়ে গিয়ে ভেতরে মারাত্মক ক্ষত সৃষ্টি হওয়ায় (কর্তব্যরত চিকিৎসকদের ভাষ্য) পরদিন দুপুরে অপারেশনের মাধ্যমে পায়ুপথে মলত্যাগের জন্যে বিকল্প পথ তৈরী করা হয়। বর্তমানে সে সংকটাপন্ন অবস্থায় ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইন-চার্জ শামীম মুসা জানান, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলাৎকারের বিষয়টি স্বীকার করেছে জাহান মিয়া। আজ দুপুরে তাকে সিলেটের আদালতে প্রেরণ করা হয়।
Spread the love