ভাঙ্গুড়া (পাবনা) সংবাদদাতা : পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় মাদ্রাসার এক শিশু ছাত্রের পায়ে শিকল বেধে বর্বর আচরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনাটি ঘটে ভাঙ্গুড়া পৌরসভার জামে-উল-উলুম মাদ্রাসায় । জানাগেছে গত কয়েকদিন ধরে ঐ মাদ্রাসার মুফতি হুজুর মোঃ আব্দুল আজিজ(২৮) সিয়াম নামের সাত বছর বয়সের ঐ ছাত্রটিকে রিক্সা ভ্যানের চেইন দ্বারা পায়ে বেরী দিযে মাদ্রাসার একটি অন্ধকার ঘরে আটক রাখে। সোমবার সন্ধ্যায় লোকজন শিশুটির চিৎকার শুনে এগিয়ে গেলে নির্জন কক্ষে তার করুণ কান্না ও বাচাঁও বাচাঁও চিৎকার শুনতে পায়। তারা কক্ষের তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে আলো জালিয়ে শিশুটির দুই পায়ে চেইন পেচিয়ে তালা লাগানো অবস্থায় দেখতে পান। সিয়ামের পিতা দক্ষিণ সারুটিয়া মহল্লার আনিছ অভিযোগ করেন মুফতি হুজুর অন্ধকার যুগের ন্যায় ঘরে আটক রেখে তার পুত্রের সাথে অমানবিক আচরণ করেছেন। এদিকে ঘটনাটি এলাকার মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করলেও পুলিশ অজ্ঞাত কারণে মুফতি আব্দুল আজিজ কে আটক করেনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামছুল আলম জানান ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ঐ মুফতিকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি ভাঙ্গুড়া থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। ওসি আবু জাফর জানান ইউএনও তাকে ঘটনাটি অবহিত করেছেন কিন্ত তিনি এ ব্যাপারে কোন লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় ব্যবস্থা নিতে পারেননি । মুফতি হুজুর আব্দুল আজিজ জানান সিয়াম লেখা পড়া না করে ঘন ঘন মায়ের কাছে যেতে চায় জন্যে তাকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। এদিকে এলাকাবাসী থানা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন তদবির ছাড়া পুলিশ কোন অভিযোগই আমলে নেয় না।
ভাঙ্গুড়ায় শিশু ছাত্রের পায়ে শিকল বেধে বর্বর আচরণের অভিযোগে মাদ্রাসার মুফতি বরখাস্ত
Spread the love
Spread the love