বরিশাল প্রতিনিধি : ভাল নেই বরিশালের প্রান্তীক পানচাষিরা , মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সাদা চামড়া কালো করে দিন রাত পরিশ্রম করে ফলান পান। সেই পান বিক্রি করতে গিয়ে পানচাষিরা পাইকার ও দালালদের হাতে যেমনী হচ্ছেন জিম্মি, টাকা নিতে তেমনী হচ্ছেন লাঞ্চিত ও শুনতে হচ্ছে কটু কথা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার সিমান্তবর্তী ভূরঘাটাতে সপ্তাহে দু বার বসে সর্ব বৃহত পাইকারি পানের হাট, বুধাবার ও রবিবার। শুক্রবার ও মঙ্গলবার বসে টরকী বন্দরে, ও বাটাজোর বাজারে। কাকডাকা ভোরে ফজরের নামাজ আদায় করে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঝুড়ি ঝুড়ি পান ও পানের খোতা নিয়ে দাড়িয়ে আছে প্রান্তীক পানচাষিরা। পাইকাররা পান ক্রয় করছেন না। অজুহাত ! ভারতীয় পানে ঢাকার আড়ৎ ভর্তি হয়ে গেছে, পান নিয়ে গেলে পান বিক্রি হয় না । অপড়দিকে পান হাটে দালালদের দৌরাত্ব বে পরোয়াভাবে বেড়েছে। তারা পানচাষিদের কাছ থেকে বেশী দাম বলে জোড় করে পান নিয়ে কম দাম দিচ্ছে। আবার বাকিতে ক্রয় করে নিচ্ছে চাষিদের কাছ থেকে।বিক্রির পুরা টাকাই নগদ টাকা দাবি করলে শুনতে হচ্ছে অপমান জনক ও কটু কথা,গলা ধাক্কা, একাধিক পানচাষি বিক্রেতাদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, বাশ ,চেড়া,গুনা,উলু ,টেংগি ও বদলা ( দিনমজুর) র দাম অত্যাধিক হারে বৃদ্ধি,পান বিক্রির খাজনা বৃদ্ধি, সব কিছুরই দাম বৃদ্ধি হলেও বিপরিত পানের দাম দিন দিন কমে গেছে। কয়েক জন পানচাষি আক্ষেপ করে বলেন, এভাবে চলার কারনে পানচাষিরা পান চাষে আগ্রহতো হারিয়ে ফেলেছেই সামনে এমনই বিরাজমান থাকলে পানচাষিরা আর পান চাষ করবেনা। কয়েকজন পানচাষি বলেন, আমরা কষ্টকরে পান চাষ করি, হাটে পান নিয়ে আসলে দালাল ছাড়া পান বেচা যায় না। একজন দালাল প্রতি হাটে পাইকারদের সাথে মিডিয়া করে দিয়ে পান বিক্রি করে দিয়ে প্রতি হাটে ২০০০/৩০০০ টাকা নিয়ে যায় , শুধু পান বিক্রিতে দালালীর মাধ্যমে একজন চাষির চেয়েও বেশী আয় করছেন তারা বিনা চালানে,বিনা পরিশ্রমে। ১০০ বিড়া পান হাটে বিক্রি করলে চাষি পান তিন হাজার চার হাজার টাকা আর দালালের আয় হয়ে যায় তিন শত, পাচ শত এক হাজার টাকা।