যশোর অফিস : পুলিশের গাড়ী থেকে পালিয়ে যাওয়া কথিত অস্ত্র ব্যবসায়ী ইলিয়াস মৃধা (৩০) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। বুধবার গভীররাতে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী সীমান্তের বারপোতা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন বলে দাবি পুলিশের। জব্দ করা হয়েছে দুটি রিভলবার ও একটি মোটরসাইকেল। বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি অপূর্ব হাসান দাবি করেন, বুধবার দুপুরে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের পিকআপ ভ্যানে করে যশোরে আদালতে যাওয়ার পথে বেনাপোলের কাগজপুকুর এলাকায় পিকআপভ্যান উল্টে গেলে হ্যান্ডকাপসহ পালিয়ে যান ইলিয়াস। এ দুর্ঘটনায় পোর্ট থানার এসআই ফিরোজ, কনস্টেবল ডালিম, মিজান ও পিকআপ ভ্যানচালক আমীর হামজা আহত হন। দুপুরের ঘটনা হলেও বিষয়টি সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউই জানতেন না। পরে বিষয়টি চাউর হয়। ওসি জানান, ঘটনার পর থেকে বেনাপোল ও শার্শা সীমান্তে সাঁড়াশি অভিযান চালায় পুলিশ। রাত দুইটার দিকে মোটরসাইকেল চালিয়ে পুটখালী সীমান্তে যাওয়ার পথে বারপোতা এলাকায় তাদের মোটরসাইকেল থামালে পুলিশের উদ্দেশে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা। এ সময় পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মারা যা ইলিয়াস। এ সময় অন্যরা একটি মোটরসাইকেল ও দুটি রিভলবার ফেলে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। আহত পুলিশ সদস্যরা যশোর পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে তিনি জানান। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকেলে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানাধীন গাজীপুর বটতলা এলাকা থেকে আটক হন ইলিয়াস মৃধা। পুলিশ তার কাছ থেকে একটি ৭.৬৫ বোরের পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। আটক ইলিয়াস রাজবাড়ী জেলা সদরের কাচরন্দ এলাকার লতিফ মৃধার ছেলে।
যশোরে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
Spread the love
Spread the love