রংপুর প্রতিনিধি : রংপুরে গত ১৬ দিনে প্রায় সব সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, বন্যার কারণে রংপুরে বাজারে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে কিন্তু মাছের দাম কেন চড়া এর সঠিক উত্তর দিতে পারেনি বিক্রেতারা। নগরীর সিটি বাজার ও কামাল কাছনা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির মধ্যে করল্লা, চিচিংগা, পটল, ঢেঁড়স সবগুলোর দর ৫০ টাকার ওপরে। বরবটি আর শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। কাঁচা মরিচের দাম তিন চার দিনে বেড়ে দাড়িয়েছে প্রতি কেজি ১৪০টাকা। শুধু সবজি নয়, বেড়েছে মাছের দামও। সব ধরনের মাছে প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। সব জিনিসের লাগামহীন দাম বাড়ার কারণে বিরক্ত ও হতাশ ক্রেতারা। বিক্রেতারা বলছে, গত কয়েক দিনে পেঁয়াজের দাম কমেছে। গত শনিবার রংপুর সিটি বাজােের আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। আর দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা দরে। তবে অন্য পণ্যের দাম কমার লক্ষণও নেই। এ ছাড়া প্রতিকেজি রসুন ৮০ টাকা এবং আমদানি করা রসুন ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নতুন আদা ৩০ টাকা আর পুরাতন আদা প্রতিকেজি ১২০ টাকা। ১৩০ টাকার মুসুর ডাল বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪০ টাকায়। খুচরা ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের জানান, আমরা যখন কোনো মালামাল বেশি দামে ক্রয় করি তখন বেশি দরেই বিক্রি করতে হয়। আর কম দামে ক্রয় করলে কম দামে বিক্রি করা যায়। এটাই স্বাভাবিক হিসাব। তবে দাম কেন বাড়ছে বা কমছে এটা আমরা বলতে পারবো না। গতকাল শনিবার লালকুঠি বাজার, মাহিগঞ্জ বাজার, কামাল কাছনা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, মান ভেদে প্রতি কেজি গোল আলু বিক্রি হচ্ছে ২২ টাকা থেকে ২৫ টাকায়, কাঁচামরিচ ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকায় (আগের সপ্তাহে ছিল ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা), বেগুন ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকায়, টমেটো ৭০ টাকায়, শশা ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকায়, কাকরুল ৫০ টাকা, পটল ৫৬ টাকা থেকে ৬০ টাকায়, ঝিঙা ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকায়, ভেন্ডি ৪৮ টাকা থেকে ৫০ টাকায়, বটবটি ৬০ টাকা, উস্তা ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকায়, পেঁপে ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রংপুরের বাজারে বন্যার কারণে সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী
Spread the love
Spread the love