নিজস্ব প্রতিবেদক : বদলে গেছে ওয়ানডে ক্রিকেট। বদলে যাচ্ছে ওয়ানডে ক্রিকেটের গতি। একসময় ২৫০ এর উপরে রান হলেই ওটাকে মনে করা হতো লড়াই করার মতো স্কোর। এখন ৩০০ এর উপরে রান করেও নিশ্চিত জয়ের কথা ভাবা যায় না। আর কোন দল যদি ৪৩৮ রান তোলে সেখানে জয়ের আশা করা জেগে জেগে স্বপ্ন দেখা একই ব্যাপার। তবে ভারতীয়রা বোধহয় রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার কাছ থেকেই প্রেরণাটা পাচ্ছিলেন। এই দক্ষিণ আফ্রিকাই তো ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার ৪৩৪ রান টপকে জিতেছিল। কিন্তু রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরা আগেভাগে ফিরে যাওয়ায় মহেন্দ্র সিং ধোনির দল খেলে গেলেন স্রেফ পরাজয়ের ব্যবধান কমাতে। এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার ৪৩৮ রানের জবাবে ভারত গুটিয়ে গেছে ২২৪ রানে। ফলে পঞ্চম এবং শেষ ওয়ানডেটি দক্ষিণ আফ্রিকা জিতে নিল ২১৪ রানের বিশাল ব্যবধানে। ফলে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ প্রোটিয়ারা পকেটে তুললো ৩-২ ব্যবধানে জিতে। ৪৩৪ রানের জবাব যারা দেবেন সেই রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি ৪৪ রানের মধ্যে ফিরে যাওয়ার পর আসলে ওখানেই ম্যাচ শেষ হয়ে যায়। মাঝে শিখর ধাওয়ান এবং আজিঙ্কা রাহানে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১১২ রান তুলে একটু চেষ্টা করেছিলেন। রাহানে ৫৮ বলে নয় চার আর তিন ছক্কায় ৮৭ এবং ধাওয়ান ৫৯ বলে করেন ৬০ রান। এছাড়া ধোনির ব্যাট থেকে এসেছে ২৭ রান। এরপর আর কোন ব্যাটসম্যানই প্রোটিয়া বোলারদের সামনে হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারেননি। তরুণ কাগিসো রাবাডা ৩৬ এবং ডেল স্টেইন ৩৮ রানে পেয়েছেন ৩টি করে উইকেট। ৫০ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন ইমরান তাহির। এরআগে তিন সেঞ্চুরির সৌজন্যে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪ উইকেটে ৪৩৮ রান তোলে। যেটা প্রোটিয়াদের ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। ওয়ানডেতে আগে একবারই এক ইনিংসে তিন সেঞ্চুরি দেখেছিল ক্রিকেট বিশ্ব। সেটাও করেছিল প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা। এই ম্যাচে আরেকটি বিশ্বরেকর্ড হয়েছে। সেটা হলো চার-ছক্কা থেকে সবচেয়ে বেশি ২৭২ রান এসেছে। প্রোটিয়ারা মোট ৩৮টি চার এবং ২০টি ছক্কা মেরেছেন। আগের রেকর্ডটি ছিল শ্রীলংকার, ১৯৯৬ বিশ্বকাপে কেনিয়ার বিপক্ষে। চার-ছক্কায় তাদের সংগ্রহ ছিল ২৫৬ রান। বাংলাদেশ সিরিজের পর দল থেকে ছিটকে পড়া কুইন্টন ডি কক ভারতের বিপক্ষে রানের ফল্গুধারা
ছুটাচ্ছেন। এদিন ভারতীয় বোলারদের ছত্রখান করে ৮৭ বলে করেছেন ১০৯ রান। ১৭ চারের পাশাপাশি ছয় মেরেছেন একটি। সেঞ্চুরি পেয়েছেন ফ্যাফ ডু প্লেসিসও। তিনি ১১৫
বলে নয় চার, ছয় ছক্কায় করেছেন ১৩৩ রান। তবে সবচেয়ে বিধ্বংসি ইনিংসটি খেলেছেন অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স। মাত্র ৬১ বলে তিনি ১১৯ রান করেন। সেঞ্চুরি করেছেন ৫৭ বলে। ভিলিয়ার্স তার ইনিংসে ছক্কাই মেরেছেন ১১টি। চার মেরেছেন তিনটি। এছাড়া হাশিম আমলা ২৩, ডেভিড মিলার ২২, ফারহান বিহারডিয়েন ১৬ রান করেন। ভুবনেশ্বর কুমার, হরভজন সিং, মোহিত শর্মা এবং সুরেশ রায়না প্রত্যেকে পেয়েছেন একটি করে উইকেট। ম্যাচসেরা হয়েছেন কুইন্টন ডি কক এবং সিরিজসেরার পুরস্কার জিতেছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স।
সিরিজ জয় দ: আফ্রিকা: ২২৪ রানে গুটিয়ে গেল ভারত
Spread the love
Spread the love