সাথী আকতার সিলেট : সিলেটে শুরু হয়েছে শীতের আমেজ। বিকাল থেকেই একটু একটু শীতল বাতাস আর সন্ধ্যার পরই কুয়াশা ঝরতে শুরু করেছে। মধ্যরাতের পর টিনের চালা থেকে পড়ছে হালকা বৃষ্টির মত পানি। সকালে গাছ-গাছালিতে জমে থাকছে শিশির। সূর্য ওঠার অনেক পর পর্যন্ত জমে থাকা শিশির দেখা যাচ্ছে। এদিকে শীতের প্রস্তুতি হিসেবে অনেকেই পুরনো শীতবস্ত্র ঠিকঠাক করে নিচ্ছেন। আবার অনেকে নতুন করে লেপ-তোশক তৈরি করে নিচ্ছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিম্ন আয়ের মানুষের শীত নিবারণের একমাত্র অবলম্বন কাঁথা। এসব পরিবারের নারী সদস্যরা এখন কাজের ফাঁকে তাদের পুরনো কাঁথা মেরামত আর ছেঁড়া শাড়ি-লুঙ্গি দিয়ে নতুন কাঁথা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। মধ্য আশ্বিনের পর থেকেই শুরু হয়েছে হালকা কুয়াশা। ক্রমেই তা ভারী হচ্ছে। ক’দিন থেকে সন্ধ্যার পরই শুরু হচ্ছে মাঝারি কুয়াশা। ভোর পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে দেখা গেছে। রাতের বেলা যানবাহনগুলো হেডলাইট নিচু করে চলাচল করছে। রাতের কুয়াশার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় সকালে সূর্য ওঠার পরও জমির আইল দিয়ে হাটলে শরীর ভিজে যাচ্ছে। শীষ বের হওয়া আমন ধানের গাছে সূর্য ওঠার অনেক পর পর্যন্ত শিশির লেগেই থাকছে। এখন জেলার সর্বত্র চলছে শীতকে বরণ করার প্রস্তুতি। শীতের রাতে বিছানায় পরিবারের সদস্যদের উষ্ণ রাখতে সবাই ব্যস্ত লেপ-তোশক মেরামত আর নতুন করে তৈরি করতে। এজন্য জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে এসব তৈরির কারিগরদের কাজের গতি বেড়ে গেছে। তাদের এখন দম ফালাবার ফুরসত নেই। জেলা শহরের বিভিন্ন লেপ-তোশক তৈরির দোকানগুলোতে দেখা গেছে সব কারিগর ব্যস্ত নতুন লেপ তৈরিতে। কথা বলার সময় নেই তাদের। কয়েক মাস তাদের হাতে কাজ না থাকায় মৌসুম শুরু হওয়ায় দ্রুত কাজ করে তারা বাড়তি টাকা আয় করছেন। আর যাদের এগুলো তৈরির সামর্থ নেই তারা ব্যস্ত কাঁথা নিয়ে। শীত নিবারণের জন্য এটাই তাদের বড় উপকরণ। জেলার প্রত্যন্ত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অনেক নারী ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাদের পুরনো কাঁথা নতুন করে সেলাই করতে।
সিলেটে শীতের পদধ্বনি সন্ধ্যার পরই ঝরছে কুয়াশা
Spread the love
Spread the love