সিলেট প্রতিনিধি : সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ ২ এর আওতাধীন ১নং কোম্পানীগঞ্জ এলাকার পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাবাসী ৭২ ঘন্টার মধ্যে ডিজিএম তাজুল ইসলামের অপসারণ ও সাত দফা দাবি বাস্তবায়নে আল্টিমেটাম দিয়েছেন।
সোমবার বিকেলে পাড়য়া আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে উপজেলাবাসীর ব্যানারে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়।উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রাম থেকে শত শত নারী পুরুষ মিছিল সহকারে এই বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. গেদা মিয়া। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াদুদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. আলা উদ্দিন, পাড়–য়া তরুণ সংঘের সভাপতি মো. বিলাল আহমদ, সমাজসেবী ডাঃ আব্দুল হাসিব, শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম চান মিয়া, জুয়েল আহমদ, প্রবীন সমাজসেবী ইলিয়াছুর রহমান, আওয়ামীলীগ নেতা বুরহান উদ্দিন. জালাল উদ্দিন, জলিল মেম্বার, সাংবাদিক শেখ মোর্শেদ। ব্যবসায়ী মদরিছ আলীর পরিচালনায় ও ডা. কফিল আহমেদর কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সুচিত বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আবুল মেম্বার, ব্যবসায়ী রেনু মিয়া, মসরব আলী, আবুল কালাম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আফজল হোসেন, আকবর রেদওয়ান মনা, আব্দুল হাসিম মাষ্টার, আবু জাফর দুলন, যুব সংঘঠক ফখরুল ইসলাম, কেফায়েত উল্লাহ, আলীম উদ্দিন প্রমূখ।
সভায় বক্তারা বলেন ইতিমধ্যে উক্ত ডিজিএম এর বিরুদ্ধে বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে নালিশও প্রদান করেছেন গ্রাহকরা। তারা অবিলম্বে উক্ত ডিজিএমমের অপসারণ দাবী করেন। বক্তারা বলেন ডিজিএম তাজুল ইসলাম যোগদানের পরপরই অনিয়মের মাধ্যমে অল্প দিনে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সরকারের খাস জমিতে স্থাপ্তিত বিভিন্ন ক্রাশার মিলে অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করেছেন। বক্তারা ক্রাশার মিলে দেওয়া অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করন, নতুন কোন সংযোগ না দেওয়া, রশিদ ছাড়া মিটার ও খুটি স্থাপনে টাকা আদায় না করা, তিনমাসের মধ্যে মিটার স্থাপন করে দেওয়া, ইলেকট্রিশিয়ানদের দূর্নীতি বন্ধে প্রদক্ষে গ্রহণসহ নোটিশ ছাড়া বিদ্যু সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করার দাবী জানান।
তারা বলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স ও ভুমি অফিসের খাস ভ’মি বরাদ্ধের কোনো কাগজ পত্র অনেক মিলের নেই। যেখানে তিনি অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করেছেন। ভোলাগঞ্জের কালাসাদক মৌজার ১০ নং এলাকার ডিসি খতিয়ান নং ০১ এর জে এল নং ৫৭ দাগ নং ১০২, ১০৬, ১১৫ এর মধ্যে কয়েকশত একর জায়গা রয়েছে। এসব জায়গার কিছু অংশে গড়ে উঠেছে একাধিক ক্রাশার মিল। এসব মিল থেকে ৫/৭ লক্ষ টাকা উৎকোচ নিয়ে উক্ত ডিজিএম বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করেছেন। পর্যটন কেন্দ্র নির্মানের জন্য উক্ত খাস জমি বন্দোবস্ত বা ডাম্পিং কাজে দেওয়া সম্পূর্ন বন্ধ রেখেছেন সরকার। কিন্তু তাজুল ইসলাম প্রচলিত আইনকে উপেক্ষা করে অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করে যাচ্ছেন। তারা আরো বলেন উক্ত ডিজিএম একটি মিটার স্থাপনে সরকারি ফি ছাড়াও ১০/১৫ হাজার টাকা বেশি নিয়ে থাকেন গ্রাহকদের কাছ থেকে। একই ভাবে বিদ্যুৎ খুটি স্থাপন করতে গেলে ৪০/৪৫ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করে থাকেন। তাছাড়া বাড়তি বিল আদায়ের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গ্রাহকদের অভিযোগ বিদ্যুৎহীন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নামেও তিনি দফায় দফায় টাকা আদায় করছেন। এলাকাবাসী ৭২ ঘন্টার মধ্যে ডিজিএমকে অপসারণ করা না হলে ঘেরাও কর্মসূচিসহ কঠোর কর্মর্সূচি ঘোষণার হুশিয়ারী প্রদান করেন।