নিজস্ব প্রতিবেদক : দুরন্তদের দুর্দান্ত জয়। দুই দলেই রয়েছেন দুই আইকন। একজন মুশফিকুর রহিম, অন্যজন তামিম ইকবাল। তারকার সমাবেশ তো আছে। তবে অনিবার্য কারণবশত খেলতে পারেননি মুশফিক। ফলে রাজশাহী বিভাগের একটি ডানা এমনিতেই ভেঙে পড়েছে বলে মনে করেছিলেন সবাই; কিন্তু রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে মুশফিকের অনুপস্থিতির অভাব বুঝতেই দেননি জুনায়েদ সিদ্দিকীরা। বরং উল্টো তামিম ইকবালের উপস্থিতিকে পুরোপুরি ম্লান করে দিয়ে, ১৭তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় পর্বে চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে ৭ উইকেটের অসাধারণ এক জয় তুলে নিল রাজশাহী বিভাগ।
দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য রাজশাহীর সামনে প্রয়োজন ছিল ২৫৭ রান। তৃতীয় দিনের শেষ বিকালেই দুই ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকী আর নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে তুলে ফেলেছিলেন ৯৮ রান। মূলত, রাজশাহীর সামনে জয়ের সুবাস তখনই বইতে শুরু করে।
চতুর্থ দিন জয়ের জন্য বাকি ১৫৯ রান তুলতে খুব একটা কষ্ট করতে হলো না জুনায়েদ সিদ্দিকীদের। কারণ, দুই ওপেনার মিলে গড়ে ফেলেন ১৯৩ রানের দুর্দান্ত এক জুটি। এই জুটির ওপর ভর করেই অনায়াসে জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা। সেঞ্চুরি করেন জুনায়েদ। দুর্ভাগ্য শান্তর জন্য। ৯২ রানে আউট হয়েছেন তিনি। ১২৫ বলে খেলা তার ৯২ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৩টি বাউন্ডারি আর ১টি ছক্কায়। জুনায়েদ ১২৯ বল খেলে করেন ১০২ রান।
শেষদিকে ব্যাট করতে নেমে জাতীয় দলের আরেক ক্রিকেটার সাব্বির রহমান রীতিমত তার ঝড় তোলেন। ৩৮ বলে তিনি অপরাজিত থাকেন ৪৯ রানে। ৩টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কার মার ৫টি। শেষ পর্যন্ত ৫৫.৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়েই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দুরন্ত রাজশাহী।
জাতীয় লিগের দ্বিতীয় পর্বের মোট ৪টি ম্যাচের মধ্যে তিনটিই হয়েছে ড্র। কেবলমাত্র ফলের মূখ দেখেছে রাজশাহী-চট্টগ্রাম ম্যাচটি। চট্টগ্রামের দুর্দশার কারণ, দলটির দুই ওপেনার দুই ভাই তামিম ইকবাল এবং নাফিস ইকবাল মিলে ইনিংস ওপেন করলেও কিছু করতে পারেননি। দুই ইনিংস মিলে দু’জনের ব্যাট থেকে এসেছে সব মিলিয়ে মাত্র ১৩ রান।
৭ উইকেটে দুরন্ত রাজশাহীর দুর্দান্ত জয়
Spread the love
Spread the love